নিজেস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি বাসার ছাদ থেকে পড়ে মালয়েশিয়ার এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাজরিয়ান মোস্তফা মৌমিতার (২০) মৃত্যুর ঘটনায় বাড়ির মালিকের ছেলে ফাইজারসহ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেছে নিহতের পরিবার।
ঘটনার তিনদিন পর সোমবার (১ মার্চ) রাতে কলাবাগান থানায় নিজে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন মৌমিতার বাবা মো. কামাল মোস্তফা খান শামীম।
সোমবার রাতে কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিতোষ চন্দ্র মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘নিহতের পরিবার মামলা করেছে। ঘটনা তদন্ত করছি।’
নিহত মৌমিতার ফুপা মো. মোসাব্বির হোসেন বলেন, ‘বাড়ির মালিকের ছেলে ফায়জারসহ কয়েকজনকে আসামি করে কলাবাগান থানায় সোমবার রাতেই আমরা মামলা করেছি।’
নিহত মৌমিতা ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর মালয়েশিয়ায় পড়ালেখা করার জন্য মা-বাবাসহ চলে যায়। করোনার সময় গত বছরের জুন মাসে তারা দেশে আসে।
তার পরিবারের দাবি, করোনার শুরুর দিকে দেশে আসার পর থেকে ফাইজার বিভিন্ন সময় মৌমিতাকে উত্ত্যক্ত করত। ফাইজারের পরিবারকে এ বিষয়ে একাধিকবার অভিযোগ করা হলেও তারা কোনো প্রতিকার করেনি। উল্টো এ বিষয়ে ফাইজারের পরিবার তার পক্ষ নিয়ে কথা বলেছে।
গত শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে ধানমন্ডির ৮ নাম্বার রোডের বাসার ছাদে যায় মৌমিতা। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভবনের পেছনের গলিতে তার দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাকে উদ্ধার করে গ্রিনলাইফ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৌমিতার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ঢামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, তাকে ধর্ষণ বা বিষাক্ত কিছু খাওয়ানো হয়েছিল কি না তা জানতে রক্ত, ভিসেরা ও সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে তাকে মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।